মাসখানেক আগে এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। আমারও এবছর এইচএসসি পরীক্ষায় বসার কথা ছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষায় ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’র শিকার হওয়া থেকে বাঁচতে এখন আমি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের পথে হাঁটছি। সেসব কথা থাক।
আমার বন্ধুরা সবাই এইচএসসি দিয়েছে। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিয়ে ব্যস্ত।বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। কারণ এর ওপরই নির্ভর করে ভবিষ্যতের ক্যারিয়ার। ক্যারিয়ার গড়ার প্রাথমিক পর্যায়ের কিছু বৈষম্য ভবিষ্যতে কীভাবে বিরাট পার্থক্য গড়ে দেয় সেই চিত্রটা আজকের লেখায় তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
বাংলাদেশে মোট ৩৭টা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে। পাবলিক ইউনিভার্সিটি গুলোর ডিমান্ড চাকরির বাজারে বেশি বলে সবার লক্ষ্য থাকে ঐ ৩৭টি বিশ্ববিদ্যালয়। মোট শিক্ষার্থীর তুলনায় এসব ইউনিভার্সিটিতে সিটের সংখ্যা নগণ্য। তাই প্রত্যেককেই অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে হয়। নিজের শহরের বাইরে গিয়ে এসব পরীক্ষা দেয়া ছেলেদের পক্ষে সম্ভব হলেও মেয়েদের ক্ষেত্রে এটি একটি বিশাল সমস্যা।
ছেলেরা সাধারণত বন্ধুদের সাথে দল বেঁধে যায়, অভিভাবক যাওয়ার দরকার হয় না। আর মেয়েরা? বন্ধুদের সাথে এক জেলা থেকে আরেক জেলায় এক ইউনিভার্সিটি থেকে আরেক ইউনিভার্সিটিতে দল বেঁধে যাওয়ার কথা চিন্তাই করতে পারেনা। অভিভাবকদের সাহায্য নিতে হয়, অনুমতি নিতে হয়, অভিভাবকদের কাজের ফাঁকে সময় বের করতে পারবে কিনা সেই চিন্তাও করতে হয়। অভিভাবকরা যদি বলে, তোমার সাথে যাওয়ার মতো আমার সময় নেই, কাজের চাপ, ছুটি নিতে পারছি না, ব্যবসার ক্ষতি হয়ে যাবে অতএব পরীক্ষা দিতে হবে না। পরীক্ষা দেয়া বন্ধ। কাছের কোনো ইউনিভার্সিটিতে চেষ্টা করো। না হলে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হও। শেষ পর্যন্ত পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে পড়ার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায়।
স্বপ্ন বাস্তবতার মুখ না দেখার একটি অন্যতম কারণ, নিরাপত্তা সমস্যা। আর অনার্সের মাঝামাঝি সময় একটা ভালো পাত্র পেয়ে গেলেই মেয়ের আসল ঠিকানা অর্থাৎ ‘স্বামীর সংসার’এ পাঠিয়ে দেয়ার মানসিকতা তো আছেই। ভালো পাত্রের সন্ধান পাওয়া গেছে, বিয়ের পিঁড়িতে বসও। ব্যস, সংসার পেতে বসতে হয়। তখন স্বাবলম্বী হওয়ার সুখ স্বপ্ন ভুলে, হাঁড়ি পাতিল, বাচ্চাকাচ্চা স্বামী সেবায় সুখ খোঁজে।
আমার এক মেয়ে বন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিয়েছিল। তার মা-বাবার কোনও আপত্তি নেই মেয়েকে অন্য শহরে রেখে পড়াতে। তবে তার জ্ঞানীগুণী আত্মীয় স্বজনেরা নাকি প্রায় তার মা-বাবাকে বাস্তবতা বোঝাতে আসতেন। মেয়েকে চোখের আড়াল করে লেখাপড়া করতে পাঠানো কতটা ভুল সিদ্ধান্ত সেটা জানাতেন।
নিরাপত্তা সমস্যা এবং মানসিকতা সমস্যা, এই দুটো সমস্যার কারণে মাধ্যমিক পরীক্ষায় সারাদেশে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের ফলাফল ভাল হওয়া স্বত্বেও ভবিষ্যতে ভালো ক্যারিয়ারের রাস্তাটাতে ছেলেরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়।
আপাত দৃষ্টিতে এটাকে তুচ্ছ কিছু মনে হলেও এটা কিন্তু ভয়াবহ একটি সমস্যা। দেশে শিক্ষার হার বাড়ছে। শিক্ষিতের অর্ধেক অংশ নিজের বিদ্যা বুদ্ধিকে কাপড় ধোয়ার সেরা সাবান, আর সেরা মেলামাইন বাছাইয়ের ক্ষেত্রেই শুধু ব্যবহার করার সুযোগ পাচ্ছে।
আমার এক ডাক্তারি পড়ুয়া দাদার সাথে কথা বলছিলাম। সে বিয়ের ক্ষেত্রে কী ধরনের মেয়ে পছন্দ করবে সেসব নিয়েই মূলত আলোচনা। কথায় কথায় জিজ্ঞেস করলাম, সহপাঠীদের মধ্যে কাউকে পছন্দ হয় কিনা। বলল, তা হয়। তবে সে সহপাঠীদের কাউকে জীবন সঙ্গী হিসেবে বেছে নিতে পারবে না। তার মায়ের বয়স হচ্ছে, বাড়িতে মায়ের একজন সাহায্যকারী লাগবে, সেই উদ্দেশ্যেই সে বিয়ে করবে। আর ডাক্তারি পড়া একজন মেয়েকে সে বাড়িতে বসিয়ে রাখবে? তার একটা বিবেক আছে না? তাই সে বিশ্ববিদ্যালয় পাশ কাউকে বিয়ে করবে। যাকে বাড়িতে মায়ের সাহায্যকারী বানানো যাবে।
বাংলাদেশে কয়জন ছেলে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হয়? বেশির ভাগই বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ কোনও বিষয় নিয়ে পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয় পড়া শেষ করে ভালো চাকরিও করে। কিন্তু ডাক্তার স্বামীর বিশ্ববিদ্যালয় পাশ স্ত্রীকে সাধারণত ঘরের কাজেই দেখা যায়। অর্থের দরকার না থাকলে মেয়েদের চাকরির প্রয়োজনীয়তা তেমন থাকে না বলে অনুমতিও পাওয়া যায় না।
ফেসবুকে প্রায় স্ট্যাটাস দেখি, ছেলে বিয়ে করতে চায়। কারণ তার রান্না করার কেউ নেই,কাপড় ধোয়ার কেউ নেই, ঘর গোছানোর কেউ নেই। তাই তার একজন বউ লাগবে। আমি বুঝি না, এধরনের ছেলেরা বিয়ে করতে গিয়ে শিক্ষিত মেয়ে খুঁজে কেন! ঘরের কাজ করে এরকম কাজের খালাদের কাউকে বিয়ে করে নিলেই পারে। কারণ ঘরের কাজের দক্ষতা তো শিক্ষিত বউদের চেয়ে তাদেরই বেশি থাকার কথা। আমার মনে হয়, কে কত শিক্ষিত একটি মেয়েকে নিজের দখলে নিতে পেরেছে সেরকম একটা প্রতিযোগিতা বাজারে চালু আছে। তাই বিয়ের সময় তাদের শিক্ষিত মেয়ে দরকার হয়।
এতো গেল শিক্ষিত ছেলেদের শিক্ষিত মেয়ে খোঁজার কথা। দেশের প্রায় সব ছেলেই বিয়ের সময় শিক্ষিত মেয়ের চেয়ে সুন্দরী মেয়ে খোঁজে বেশি। যাতে করে আড্ডায় বন্ধুদের সাথে বড় মুখ করে বলতে পারে, আমার বউ সবচেয়ে সুন্দরী! মেয়ে দেখতে গিয়ে- মেয়ে হাঁটতে পারে কিনা, কথা বলতে পারে কিনা, গলার স্বর কেমন, শরীরে কোথাও কোনও খুঁত আছে কিনা ইত্যাদি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে। যেন মাছের বাজারে মাছ টিপে টিপে দেখছে। পছন্দ না হলে নতুন কোনো মেয়ে দেখে, পছন্দ হলে শুরু হয় দরদাম। বিয়েতে মেয়ের বাবা কী দিবে। কয় ভরি সোনা, কোন ব্র্যান্ডের বাইক নাকি কার, ঘর সাজানোর খাট, ফ্রিজ, টেলিভিশন। তর্কবিতর্ক করে কত টাকায় বা কত সস্তায় দেনমোহরের নামে মেয়ে কেনা যায়! এ যে মেয়েদের জন্যে কত লজ্জার, কত অপমানের তা কি সে সব ‘শিক্ষিত’ (?), টাকাওয়ালা, একের পর এক পাত্রী দেখে যাওয়া ছেলেরা ভেবে দেখেছে কখনো?
মেয়েদের ন্যূনতম সম্মান আছে, অধিকার আছে এমন সমাজেও এ ধরনের বর্বর নিয়ম নেই যা আমাদের সমাজে গর্ব ও ঐতিহ্য নিয়ে যুগযুগ ধরে চলে আসছে।
আমার বন্ধুরা সবাই এইচএসসি দিয়েছে। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিয়ে ব্যস্ত।বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। কারণ এর ওপরই নির্ভর করে ভবিষ্যতের ক্যারিয়ার। ক্যারিয়ার গড়ার প্রাথমিক পর্যায়ের কিছু বৈষম্য ভবিষ্যতে কীভাবে বিরাট পার্থক্য গড়ে দেয় সেই চিত্রটা আজকের লেখায় তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
বাংলাদেশে মোট ৩৭টা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে। পাবলিক ইউনিভার্সিটি গুলোর ডিমান্ড চাকরির বাজারে বেশি বলে সবার লক্ষ্য থাকে ঐ ৩৭টি বিশ্ববিদ্যালয়। মোট শিক্ষার্থীর তুলনায় এসব ইউনিভার্সিটিতে সিটের সংখ্যা নগণ্য। তাই প্রত্যেককেই অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে হয়। নিজের শহরের বাইরে গিয়ে এসব পরীক্ষা দেয়া ছেলেদের পক্ষে সম্ভব হলেও মেয়েদের ক্ষেত্রে এটি একটি বিশাল সমস্যা।
ছেলেরা সাধারণত বন্ধুদের সাথে দল বেঁধে যায়, অভিভাবক যাওয়ার দরকার হয় না। আর মেয়েরা? বন্ধুদের সাথে এক জেলা থেকে আরেক জেলায় এক ইউনিভার্সিটি থেকে আরেক ইউনিভার্সিটিতে দল বেঁধে যাওয়ার কথা চিন্তাই করতে পারেনা। অভিভাবকদের সাহায্য নিতে হয়, অনুমতি নিতে হয়, অভিভাবকদের কাজের ফাঁকে সময় বের করতে পারবে কিনা সেই চিন্তাও করতে হয়। অভিভাবকরা যদি বলে, তোমার সাথে যাওয়ার মতো আমার সময় নেই, কাজের চাপ, ছুটি নিতে পারছি না, ব্যবসার ক্ষতি হয়ে যাবে অতএব পরীক্ষা দিতে হবে না। পরীক্ষা দেয়া বন্ধ। কাছের কোনো ইউনিভার্সিটিতে চেষ্টা করো। না হলে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হও। শেষ পর্যন্ত পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে পড়ার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায়।
স্বপ্ন বাস্তবতার মুখ না দেখার একটি অন্যতম কারণ, নিরাপত্তা সমস্যা। আর অনার্সের মাঝামাঝি সময় একটা ভালো পাত্র পেয়ে গেলেই মেয়ের আসল ঠিকানা অর্থাৎ ‘স্বামীর সংসার’এ পাঠিয়ে দেয়ার মানসিকতা তো আছেই। ভালো পাত্রের সন্ধান পাওয়া গেছে, বিয়ের পিঁড়িতে বসও। ব্যস, সংসার পেতে বসতে হয়। তখন স্বাবলম্বী হওয়ার সুখ স্বপ্ন ভুলে, হাঁড়ি পাতিল, বাচ্চাকাচ্চা স্বামী সেবায় সুখ খোঁজে।
আমার এক মেয়ে বন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিয়েছিল। তার মা-বাবার কোনও আপত্তি নেই মেয়েকে অন্য শহরে রেখে পড়াতে। তবে তার জ্ঞানীগুণী আত্মীয় স্বজনেরা নাকি প্রায় তার মা-বাবাকে বাস্তবতা বোঝাতে আসতেন। মেয়েকে চোখের আড়াল করে লেখাপড়া করতে পাঠানো কতটা ভুল সিদ্ধান্ত সেটা জানাতেন।
নিরাপত্তা সমস্যা এবং মানসিকতা সমস্যা, এই দুটো সমস্যার কারণে মাধ্যমিক পরীক্ষায় সারাদেশে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের ফলাফল ভাল হওয়া স্বত্বেও ভবিষ্যতে ভালো ক্যারিয়ারের রাস্তাটাতে ছেলেরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়।
আপাত দৃষ্টিতে এটাকে তুচ্ছ কিছু মনে হলেও এটা কিন্তু ভয়াবহ একটি সমস্যা। দেশে শিক্ষার হার বাড়ছে। শিক্ষিতের অর্ধেক অংশ নিজের বিদ্যা বুদ্ধিকে কাপড় ধোয়ার সেরা সাবান, আর সেরা মেলামাইন বাছাইয়ের ক্ষেত্রেই শুধু ব্যবহার করার সুযোগ পাচ্ছে।
আমার এক ডাক্তারি পড়ুয়া দাদার সাথে কথা বলছিলাম। সে বিয়ের ক্ষেত্রে কী ধরনের মেয়ে পছন্দ করবে সেসব নিয়েই মূলত আলোচনা। কথায় কথায় জিজ্ঞেস করলাম, সহপাঠীদের মধ্যে কাউকে পছন্দ হয় কিনা। বলল, তা হয়। তবে সে সহপাঠীদের কাউকে জীবন সঙ্গী হিসেবে বেছে নিতে পারবে না। তার মায়ের বয়স হচ্ছে, বাড়িতে মায়ের একজন সাহায্যকারী লাগবে, সেই উদ্দেশ্যেই সে বিয়ে করবে। আর ডাক্তারি পড়া একজন মেয়েকে সে বাড়িতে বসিয়ে রাখবে? তার একটা বিবেক আছে না? তাই সে বিশ্ববিদ্যালয় পাশ কাউকে বিয়ে করবে। যাকে বাড়িতে মায়ের সাহায্যকারী বানানো যাবে।
বাংলাদেশে কয়জন ছেলে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হয়? বেশির ভাগই বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ কোনও বিষয় নিয়ে পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয় পড়া শেষ করে ভালো চাকরিও করে। কিন্তু ডাক্তার স্বামীর বিশ্ববিদ্যালয় পাশ স্ত্রীকে সাধারণত ঘরের কাজেই দেখা যায়। অর্থের দরকার না থাকলে মেয়েদের চাকরির প্রয়োজনীয়তা তেমন থাকে না বলে অনুমতিও পাওয়া যায় না।
ফেসবুকে প্রায় স্ট্যাটাস দেখি, ছেলে বিয়ে করতে চায়। কারণ তার রান্না করার কেউ নেই,কাপড় ধোয়ার কেউ নেই, ঘর গোছানোর কেউ নেই। তাই তার একজন বউ লাগবে। আমি বুঝি না, এধরনের ছেলেরা বিয়ে করতে গিয়ে শিক্ষিত মেয়ে খুঁজে কেন! ঘরের কাজ করে এরকম কাজের খালাদের কাউকে বিয়ে করে নিলেই পারে। কারণ ঘরের কাজের দক্ষতা তো শিক্ষিত বউদের চেয়ে তাদেরই বেশি থাকার কথা। আমার মনে হয়, কে কত শিক্ষিত একটি মেয়েকে নিজের দখলে নিতে পেরেছে সেরকম একটা প্রতিযোগিতা বাজারে চালু আছে। তাই বিয়ের সময় তাদের শিক্ষিত মেয়ে দরকার হয়।
এতো গেল শিক্ষিত ছেলেদের শিক্ষিত মেয়ে খোঁজার কথা। দেশের প্রায় সব ছেলেই বিয়ের সময় শিক্ষিত মেয়ের চেয়ে সুন্দরী মেয়ে খোঁজে বেশি। যাতে করে আড্ডায় বন্ধুদের সাথে বড় মুখ করে বলতে পারে, আমার বউ সবচেয়ে সুন্দরী! মেয়ে দেখতে গিয়ে- মেয়ে হাঁটতে পারে কিনা, কথা বলতে পারে কিনা, গলার স্বর কেমন, শরীরে কোথাও কোনও খুঁত আছে কিনা ইত্যাদি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে। যেন মাছের বাজারে মাছ টিপে টিপে দেখছে। পছন্দ না হলে নতুন কোনো মেয়ে দেখে, পছন্দ হলে শুরু হয় দরদাম। বিয়েতে মেয়ের বাবা কী দিবে। কয় ভরি সোনা, কোন ব্র্যান্ডের বাইক নাকি কার, ঘর সাজানোর খাট, ফ্রিজ, টেলিভিশন। তর্কবিতর্ক করে কত টাকায় বা কত সস্তায় দেনমোহরের নামে মেয়ে কেনা যায়! এ যে মেয়েদের জন্যে কত লজ্জার, কত অপমানের তা কি সে সব ‘শিক্ষিত’ (?), টাকাওয়ালা, একের পর এক পাত্রী দেখে যাওয়া ছেলেরা ভেবে দেখেছে কখনো?
মেয়েদের ন্যূনতম সম্মান আছে, অধিকার আছে এমন সমাজেও এ ধরনের বর্বর নিয়ম নেই যা আমাদের সমাজে গর্ব ও ঐতিহ্য নিয়ে যুগযুগ ধরে চলে আসছে।