আমাদের দেশের বেশির ভাগ পরিবারে মেয়েকে লেখাপড়া শেখায় ভাল একটা
ছেলের কাছে মেয়েকে তুলে দেয়ার জন্য, আর ছেলের পরিবার গুলো বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ঘরের বউদের বাড়ির বাইরে কাজ করাটা
ভাল ভাবে নেয় না। কিন্তু সরকার শিক্ষাখাতে এত টাকা খরচ করছে। কত ধরনের নতুন প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছে, এইসব কাজ করে সরকার ভাবছে প্রতিবছর কিছু নতুন নতুন সৃজনশীল ছাত্র ছাত্রী পাস
করে বের হচ্ছে, যারা দেশের জন্য সমাজের জন্য তাদের মেধাকে কাজে
লাগাবে।
অথচ মেয়েগুলা পড়ালেখা করে ভাল জামাই পাওয়ার জন্য। আর ছেলে গুলা লেখাপড়া করে একটা শিক্ষিত দাসী পাওয়ার জন্য। এর বাইরে
চিন্তা করে খুব কমই আছে। পরিবারে অর্থের দরকার হলেই একমাত্র মেয়েটিকে
চাকরীর অনুমতি দেয়। অর্থের দরকার না হলে বলে চাকরীর দরকার নেই। মেয়েটি এক্ষেত্রে তেমন কোন প্রতিবাদ করে না। তাদের মতে, 'কি দরকার চাকরী করার, বেশ তো চলছে,
অযথা সংসারে ঝামেলা করার কোন দরকার কি!' এভাবেই আমাদের মেয়েগুলোর
মেধাকে রান্না ঘরের হাড়ি বাসনের মধ্যেই আবদ্ধ রাখা হয়।
তারা শিক্ষিত হয় যাতে আরও ভালভাবে হাঁড়ি বাসন গুলো ভিম বার দিয়ে
মাজতে পারে, তারা শিক্ষিত হয় যাতে আরও সুন্দর
ভাবে ঘরদোর গুছিয়ে রাখতে পারে, বাচ্চাদেরকে যাতে স্কুলে নিয়ে
যেতে ও আসতে পারে, অতিথিদের যাতে আরও ভালভাবে আপ্যায়ন করতে
পারে। আর হাড়ি বাসন ছাড়া অন্য কোন কিছু নিয়ে যদি তারা ভাবে,
সেটা হল সাজগোজ। কিভাবে আরও আকর্শনীয় ভাবে রূপচর্চা করতে পারে, তাদের স্বামীরা
তাদের কেমন দেখতে পছন্দ করে, যেভাবে সাজলে তার স্বামী খুশি হবে
ঠিক সেভাবে সেজেগুজে পুতুলের মত বসে থাকে স্বামীর অপেক্ষায়। আমাদের সমাজে এই হল আদর্শ গৃহিণীর রূপ। এইভাবেই আমাদের সমাজে বেশির
ভাগ মেয়েদের মেধা হেলায় ধ্বংস হয়ে যায়। সমাজ তথা দেশের জন্য তাদের
মেধা কোন ভাবে কাজে লাগে না।
কিন্তু কোন ছেলে তো তার চাকরি ক্যারিয়ার ভুলে যায় না, কোন ছেলে তো ভাবে না যে আমার বউ বাইরে কাজ করবে আমি সংসারের কাজ
করব- এমন টা কোন ছেলেই ভাবে না, কারণ এই ব্যাপারটা ছেলেদের জন্য খুব লজ্জাজনক। ছেলে বউয়ের কথা শুনে চলে, এইটা আমাদের
সমাজের মানুষেরা খুব খারাপ ভাবে নেয়। এই ধারনা পাল্টাতে হবে। এই ধারনার মূলে হল, মেয়েরা যোগ্যতা
থাকার পর ও চাকরি না করে তারা ছেলেটির উপর নির্ভরশীল হয়, সেক্ষেত্রে
মেয়েটির অর্থনৈতিক স্বাধীনতা থাকে না। আর পুঁজিবাদী
সমাজে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা যার নেই তাকে দাসী ছাড়া আর কি বলা যায়?
"এভাবেই আমাদের মেয়েগুলোর মেধাকে রান্না ঘরের হাড়ি বাসনের মধ্যেই আবদ্ধ রাখা হয়।"
উত্তরমুছুনExcellent হয়েছে লাইনটা ! সব মিলিয়ে খুব ভালো ব্লগ !
"ক্যারিয়ার" কথাটা মনেহয় 'কেরিয়ার' বললে ভালো হয়। কেন ?
কেননা, ইংরেজি ভাষায় আরেকটা শব্দ আছে 'Carrier'। একটা শব্দ Carrier আর আরেকটা শব্দ হল 'Career'. এখন ভাবা দরকার 'ক্যারিয়ার' শব্দটা কোন শব্দের উচ্চারণের কাছাকাছি ? Career নাকি Carrier ? আমার ভাবনা বলে ক্যারিয়ার শব্দ Carrier এর কাছাকাছি, কেননা Carrier শব্দ আসে Carry শব্দ থেকে, যার সাথে Career এর মূল কোনও অর্থগত মিল নেই। অভ্র কি প্যাডেও 'Carrier' টাইপ করলে বাংলায় 'ক্যারিয়ার' টাইপ হয়। সুতরাং কোনও ইংরেজি শব্দ বাংলায় লেখার আগে একটু ভেবে নিলে ভালো হয়। আপাত দৃষ্টিতে এই ধরণের ব্যাপার নগন্য মনে হলেও, সম্পূর্ণ একটা লেখার ছোট ছোট এরকম জিনিস মিলে বড় আকার ধারণ করে।
ভেবে দেখো কি বললাম, তবে আমার ভাবনা তোমার সাথে নাও মিলতে পারে !
সাধারণত এক্ষেত্রে ক্যারিয়ারটাই বেশি ইউজ হয়। ইংরেজি শব্দকে বাংলা করতে গেলে মনে হয় এইধরনের কিছু ব্যাপার থেকেই যায়। আমার ক্যারিয়ারটাই ভালো লেগেছে, তাই ইউজ করলাম।
মুছুনতবে আপনি বেশ মনযোগী পাঠক, ধন্যবাদ আপনাকে। আমার লেখা আগে কেউ এত মনযোগ দিয়ে পড়ে নি সম্ভবত :p
ইতু তুমি হরমনে চিকিৎসা করাও। যেই মেয়ের চুল পোলাদের মতো তার চুল পাতলা অথবা সে ছেলে সাজতে চায় তাই তার হরমনাল সমস্যা থাকটা অস্বাভাবিক কিছু না। যত যাই করো না কেন, বাবা তুমি হতে পারবা না। ছেলের দায়িত্বও তুমি পালন করতে পারবা না।
মুছুনএই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।
উত্তরমুছুনএই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।
মুছুন