
''হরলিক্সকে না বলুন, প্রশ্নপত্র সেবন করুন।''
প্রশ্ন ফাঁসের কারণে শিক্ষামন্ত্রী ফেইসবুকই দায়ী মনে করেন। পরীক্ষার সময় ফেইসবুক বন্ধ করে রাখা গেলে প্রশ্নপত্র নাকি ফাঁস
হবে না। ফেইসবুক বন্ধ করলে twitter, whats app, we chat,
robi chat room, mobile সহ আরও অনেক বিকল্প পথ আছে। বলেন, কয়টা বন্ধ করবেন??

লেখাপড়া নাকি এখন সৃজনশীল পদ্ধতিতে, মুখস্থ করার কিছু নেই। এই যদি
হয়, তাহলে ওপেন বুক টেস্ট শুরু করলেই পারেন। অনেকে গর্ব করে বলেন, 'না বুঝে মুখস্থের
দিন শেষ।' সৃজনশীল পদ্ধতিতে নাকি বুঝে
মুখস্থ করতে হয়, আগে নাকি না বুঝে মুখস্থ করা যেত। মুখস্থ তো করতেই হচ্ছে, সেটা বুঝে হোক বা
না বুঝে। লেখাপড়া
মাথায় বোঝা করে রাখতে হবে কেন? আমি পড়ব, বুঝব, বুঝে সেটা নতুন কিছুতে প্রয়োগ করব। সেক্ষেত্রে বইয়ের সাহায্য নিলে ক্ষতি কোথায়?
৪০ নম্বরের নৈবক্তিকে ভালো করতে হলে, আপনাকে জানতে হবে- কোন কবি কত সালে জন্ম গ্রহন করেছে, সে জীবনে কখন কি পুরষ্কার পেয়েছে, কয়টা গ্রন্থ লিখছে,
কোন বিজ্ঞানী কখন মারা গেছে, সে চাইনিজ নাকি জাপানিজ,
বিজ্ঞানী হওয়ার আগে সে ট্রাক চালাতো নাকি ভ্যান গাড়ি, বাংলাদেশে কয়টা চিনির কল আছে, সেখানে কয় কেজি চিনি
হয়........... সহ আরও অনেক অনেক কিছু। এসব বুঝি মুখস্থ করতে হয় না?
সবাইকেই শুধুমাত্র লেখাপড়াতে সেরা হতে হবে এমন কোন কথা আছে
নাকি? যে যেই বিষয়ে পারদর্শি সে সেখানে ভালো করবে। কিন্তু আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাটা এমন যে, এখানে লেখাপড়াকেই মানুষের একমাত্র মেধা হিসেবে ধরে নেয়া হয়। এমন শিক্ষা ব্যবস্থায় লেখাপড়ার চাপে কার কোন দিকে মেধা আছে
সেটাই ভুলে যেতে শুরু করে স্টুডেন্টরা। তারপর বড়
হয়ে বলে, আমি ছোটবেলায় খুব ভালো গাইতে/ লিখতে/ খেলতে...........
পারতাম। এভাবেই অবেহেলায় নষ্ট হয়ে
যায় মেধাগুলো।
বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের বলা
একটা লাইন, সেটা অনেকটা এরকম যে, 'তুমি যদি একটা মাছকে মই বেয়ে উপরে উঠতে বল, তবে সে সারা
জীবন নিজেকে অযোগ্য ভেবেই কাটিয়ে দিবে'। যে যেই বিষয়ে ইন্টেরেস্টেড সে সেই বিষয়ে ভালো করবে, এটাই স্বাভাবিক।
বর্তমানে সবাই লেখাপড়া করছে যাতে ভালো একটা চাকরি পায়, শিক্ষিত একটা বউ
পায়, পয়সাওয়ালা একটা জামাই পায়, বাবা
মা যাতে মানুষের সামনে গর্ব করে রেজাল্ট বলতে পারে এইসব কারনেই মূলত সবাই লেখাপড়া
করছে। শিক্ষার উদ্দেশ্য কি এইসব?

এই বছর থেকে তথ্য প্রযুক্তি নামে নতুন একটি আবশ্যিক বিষয় যোগ
করা হয়েছ। অথচ কোন স্কুল কলেজে এই বিষয়ে
অভিজ্ঞ কোন শিক্ষক নেই, শহরেই এই অবস্থা, গ্রামের
কথা তো বাদ ই দিলাম। আমার স্যার
ভালো বুঝায় বলে , বিষয়টা আমার ভালো লাগে। কিন্তু না বুঝলে এইটা বড়ই যন্ত্রণাদায়ক একটা সাবজেক্ট। সরকার নাকি কিছুদিনের মধ্যে সব কলেজ থেকে একজন একজন শিক্ষককে
ঢাকায় এই বিষয়ে ট্রেনিং দিবেন। শিক্ষকদেরই
বুঝা এখনো শেষ হয় নি, তাইলে ছাত্ররা কি আধ্যাত্মিক ভাবে বুঝবে এই
সাবজেক্ট? একে তো ত্রুটি পূর্ণ শিক্ষা ব্যবস্থা, তার উপর সরকারি ভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষায় গোল্ডেন পাওয়া ছাত্ররা ফেইল করে
কেন, সেটা নিয়ে ছাত্রদের দোষ ধরা হয়, সেসব নিয়ে কত ব্যঙ্গ, যেন নিজেরা কত যোগ্য!
এস সি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল ২ তারিখ থেকে, অথচ এই দিনেই ২০ দল হরতালের ডাক দিলো!! মানুষ পোড়ানোর এই হরতাল যারা করে তারা
কি অশিক্ষিত? মোটেই না। তারা এক এক জন বড় বড় ডিগ্রীধারী। তবে কোন কাজে লাগছে তাদের এই শিক্ষা?? এই হল আমাদের দেশের শিক্ষা এবং শিক্ষিতের নমুনা।
আমার মনে হয় এইবার অন্তত ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষা ব্যবস্থাটি নিয়ে আমাদের ভাবা উচিত।
৩০/১১/২০১৪
really nice !!!!
উত্তরমুছুনবাংলাদেশের এক মুখি শিক্ষা ব্যাবস্থা প্রতিভা মারার অসাধারন এক কল । বিষয়টা একটু উদাহরন দিয়ে বুঝান যাক নাহলে পুষ্পকেতুর মধ্যে পুষ্পবানেরই সন্ধান পাবে সবাই । উদাহরন হিসাবে বাংলাদেশের যে কোন মাধ্যমিক পর্যায়ের ইস্কুলের এক থেকে দশ এর ভিতরে যে কোন শ্রেনীর কোন কক্ষ বেছে নিন, আমি আমাদের সময়ের আমাদের শ্রেনীর কক্ষ বেছে নিলাম ।
উত্তরমুছুনক্লাশ এইট, ২৭ ছন ছেলে আর ১৪ জন মেয়ে। গতানুগতিক ভাবে ভাল, মাঝারি আর খারাপ এই তিন শ্রেনীতে বিভক্ত । যারা খুব ভাল ছাত্র ছিল তাদের মুখস্ত বিদ্যার উপর দক্ষতা ছিল অনন্য ,যারা মাঝারি ছিল তারের প্রকৃতির প্রকৃত অর্থই ছিল চতুরা আর শেষ যারা বাকি রইলো তাদের বড় হওয়ার আগে অব্দি না আমি তাদের চিনতে পেরছি না এখনও আমাদের শিক্ষকেরা পারে । তো আমাদের ক্লাসের খারাপ ছাত্রদের ভিতর ছিল একজন আর্টিস্ট লোলিতকলার এই টান টা তার ভিতর ছিল জন্মগত, তার ছবি ছাত্র জীবনে আমাদের মনে বিস্ময় আর না পারার ক্ষোভ জন্মাত । অথচ সে যতদিন ইস্কুলে ছিল পুর সময়টাই সে প্রত্যাখ্যানের বিষয় ছিল আমাদের শিক্ষক দের কাছে কারন সে মুখস্ত করতে জানতো না আর পরীক্ষায় ফল করত খারাপ । তার সৃষ্টি, যা ছিল তার একান্তই নিজের তা ওই মুখস্ত বিদ্যার কাছে পরাজিত হয়ে কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছিল জন্মের মতন ।
প্রথম প্রশ্ন আসে সত্যইকি এমন ঘটেছে ? উত্তর একটাই এটি এতোটাই সত্যি যতটা সত্যি ছিল ওই হারিয়ে যাওয়া আর্টিস্টের প্রতিভায় ,আমরা সবাই এ পথে কিছু না কিছু হারিয়েছি যা ছিল একান্তই আমার । এখন প্রশ্ন আসে কেন এমন হল ? একি এক মুখি শিক্ষা ব্যবস্তার ফল ? নাকি প্রথাগত শিক্ষার অলঙ্ঘনীয় নিয়মের বেড়াজাল , নাকি আমরা আজও শিখতে পারিনি কিভাবে শেখাতে হয় ? উত্তর যেটাই হবেনা কেন ভুল আমাদের সুধরাতেও হবে আমাদের নাহলে জন্মাবে আত্মকেন্দ্রিক আর স্বার্থপর এক প্রজন্ম । আমাদের বুঝতে হবে বিদ্যালয় থেকে একজন কিশোর বা কিশোরী অনেক বিশি শেখে খেলার মাঠ থেকে সেখানে তার হাজিত মেনে নিতে শেখে বিদ্যালয়ে তো কেবল অসুস্থ প্রতিযোগিতায় মাতে । তাই প্রতিটা শিক্ষা ক্ষেত্রই যেন হয়ে ওঠে একটা করে খেলার মাঠ ।
মন্তব্যটা একটু বড়ই হয়ে গেল এবার শেষ করি যেতে যেতে একটা কথা অনেকেই হয়ত আমার সাথে সহমত হবে না বিরাধিতা করবে তাদের জন্য বলি যে অগনিত প্রতিভা আমরা হারিয়েছি তার পরওয়ানা দিয়ে তারপর যেন বিরাধিতা কোর ।
ধুর বাল বাংলা মিডিয়ামের পড়াশোনা। ইংলিশ মিডিয়াম এর সিলেবাস আই মিন ব্রিটিশ সিলেবাল ফলো কইরা সিলেবাস বানানো দরকার। তাইলে যদি বাংলা মিডিয়ামের পোলাপানরা একটু ভালো শিক্ষা পায়। যারা জেনুইন মূর্খ তারাই ইংরেজি মিডিয়ামের বিরোধিতা করে। ওদের বোঝা উচিত, বাঙ্গালীর থেকে ব্রিটিশরা বেশি শিক্ষিত, জ্ঞানী এবং উন্নত। তাই তাদের সিলেবাস ফলো করাটা খারাপ কিছু না। বাংলা মিডিয়াম হচ্ছে জগা খিচুরী মার্কা পড়ালেখা। এইভাবে যে যা পড়তে চায় সে সেটা পড়তে পারে না। যার ফলে আস্তে আস্তে আমরা একটা অশিক্ষিত জাতিতে পরিণত হচ্ছি।
উত্তরমুছুন