প্রগতিশীল পুরুষদের বলতে
শুনি, 'নারীবাদীরা যত কিছুই বলুক না কেন, নারীরা
প্রকৃতিগত ভাবে পুরুষের চেয়ে দুর্বল, আমি নারী স্বাধীনতায় বিশ্বাসী-
সমানাধিকারে বিশ্বাসী কিন্তু সবলের কাছে দুর্বলের কিছুটা তো বশ্যতা স্বীকার করতেই হবে'।
নারী শক্তিতে কোন দিকেই কম
নয়, নারীকে সেটা বুঝতে দেয়া হয় না। নারীকে দুর্বল বানিয়ে রাখা হয়, যাতে সে বুঝতে না পারে নিজের শক্তিটুকু, যেন সে পুরুষের
কাছে বশ্যতা স্বীকার করে নেয়। বাঙালি নারীর পোশাক শাড়ি, যেটা পরে একটা দৌড় দিলেই নাক
মুখ উল্টে পরবে যে কে কেউ। বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে মুক্তি পেলেও, বাঙালি নারী পাকিস্তান থেকে মুক্তি পায় নি। শাড়ির পাশাপাশি নারীর আরেকটি পোশাক পাকিস্তানি সেলোয়ার কামিজ- যেটাতে ওড়না ঠিক করতে করতেই দুনিয়াদারির
অন্য কিছুতে নজর দেয়া যায় না। বাঙালি মেয়ে শাড়ি না পরলে তাকে কি আর বাঙালি বাঙালি লাগে?? বাঙালি মেয়ের সৌন্দর্য শাড়িতে। যেটা ইচ্ছা করলেই কেউ টান দিয়ে খুলে ফেলতে পারে, জিন্স প্যান্টে তো আর ওই সুবিধা পাওয়া যাবে না। এজন্যই শাড়িতে নারী
অসুবিধা হলেও পুরুষের বেশ সুবিধা। নারী ইংরেজদের পোশাক জিন্স পরলে সে খারাপ মেয়ে, ছেলেরা ইংরেজদের
পোশাক পরলে, শিক্ষিত ছেলে শার্ট প্যান্ট পরে, টি শার্ট পরলে সে তো আরও আধুনিক ছেলে। স্কুলের পোশাকগুলোতে ছেলেদের জন্য শার্ট প্যান্ট টাই। মেয়েদের জন্য সেলোয়ার কামিজ, ইদানিং একটা হিজাব স্কার্ফ এর নতুন ঢং শুরু হয়েছে। স্কুল কলেজের বেশিরভাগ মেয়ে হিজাব পরে শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানে যায়, অনেক স্কুলে তো স্কার্ফকে স্কুলের পোশাকের মধ্যে
অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মানে হল, যত শিক্ষাই তোমার হোক মেয়ে,
পুরুষের সামনে তোমাকে মাথা নুয়ে রাখতে হবে। না, স্কুল কলেজে ছেলেদের টুপি পরতে হয়
না, দাঁড়ি ও রাখার প্রয়োজন হয় না। যতসব ধর্মীয় নিয়ম, সামাজিক নিয়ম সব কেবল মেয়েদের জন্যই।
স্কুল কলেজে মেয়েদের ড্রেস
সেলোয়ার-কামিজ, সাথে উড়নার মত করে ক্রস বেল্ট পরতে হয়। এসব ড্রেস পরে যখন কেউ দৌড় দেয়, তখন ক্রস বেল্ট উল্টে পাল্টে যায়, জামা বাতাসে উড়তে থাকে। এভাবে দৌড়ালে নাকি দেখতে বিশ্রী লাগে, ছেলেরা নাকি তাকিয়ে থাকে, ছেলেরা নাকি হাসাহাসি করে,
এই ভয়েই মেয়েরা আর কেউ দৌড়ায় না। আমি অনেক মেয়েকেই দেখেছি রাস্তায় চলার সময় কোন ছেলে তার দিকে
তাকিয়ে হাসলে বা হা করে তাকিয়ে থাকলে বা সামনে দিয়ে যাওয়ার সময়ে পেছনের কাপড় বারবার
ঠিক করে কারণ তা তাদের মনে অস্বস্তির জন্ম দেয়।অথচ ছেলেদের প্রতি কোন মেয়ে তাকালে সে হিরো হিরো ভাব ধরে। রাস্তায় চলাফেরার সময় সবসময় মেয়েরা খেয়াল
রাখে কেউ যেন তার সম্পর্কে বাজে কথা বলতে না পারে এমন ভাবে তাকে চলতে হবে, নইলে পাড়ায় তার চরিত্র নিয়ে লোকে গবেষণা শুরু করে দিবে, কিন্তু বাজে লোক তো বাজে কথা বলবেই। আর বাজে লোকের বাজে কথার ভয়েই কিনা মেয়েদের পোশাকের বোঝা বয়ে
বেড়াতে হবে??? না
ছেলেদের এসব না ভাবলেও চলে। ছেলে বলে কথা!!!
মেয়েরা একটু বড় হলেই তার খেলাধুলা বন্ধ হয়ে যায়, মেয়েরা কিভাবে বাইরে ক্রিকেট ফুটবল খেলবে, দেখতে বিশ্রী
লাগবে না!! স্কুল কলেজে মেয়েদেরকে আমি তেমন মারামারি করতে ও দেখি নি। ছোটবেলা থেকেই মেয়েদের মনে ঢুকিয়ে দেয়া হয়, তুমি মেয়ে, তোমার এটা করা চলবে না, ওটা করা চলবে না, তোমাকে মনে রাখতে হবে, তুমি ছেলে না, ওদের সাথে তুলনা দিয়ে তোমার লাভ নেই,
ওরা অনেক কিছু করবে, সেসব ভেবে তোমার লাভ নেই। ছোটবেলা থেকেই শক্তি চর্চার সব রাস্তা মেয়েদের
জন্য বন্ধ করে রাখা হয়, যাতে মেয়েরা বুঝতে না পারে, যে তারাও শক্তিতে কোন অংশে কম নয়। তবে বলেন মেয়েদের শক্তিটা কিভাবে হবে?? আপনারা হয় তো জানেন আমাদের কানেন
পেশী গুলো ঐচ্ছিক পেশী, মানে ইচ্ছে করলেই আমরা নাড়াতে পারি,
কিন্তু আমরা তা পারি না। কারণ আমাদের কানের পেশী নাড়ানোর দরকার পরে না বলে, ছোট বেলা থেকে হাত পা নাড়ানোর শিখলেও কানের পেশী আমরা নাড়াই নি, তাই বড় হয়ে আমরা আর কানের পেশী নাড়াতে পারি না। মেয়েদের ক্ষেত্রেও এমন, তাদের ছোট থেকেই তাকে এমন ভাবে গড়া হয় যেন সে দুর্বল থাকে। এটা অনেকটা এমন যে, আপনি কারো পা ভেঙ্গে দিয়ে সেই ভাঙ্গা পায়ের মানুষটিকে আপনার ভালো পা দুটোর
শক্তি দেখিয়ে বলছেন যে, সে আপনার চেয়ে দুর্বল। সে কেন দুর্বল, আপনি কেন শক্তিশালী এসব নিয়ে আর কেউ ভাবে না তখন।
না নারী দুর্বল না মোটেও। নারীকে দুর্বল করে রাখা হয়েছে এবং এভাবেই চলে আসছে হাজার বছর
ধরে। একটা বাচ্চা জন্ম দেয়ার কষ্ট
শরীরের ৫০ ভাগ হাড্ডি ভেঙ্গে যাওয়ার কষ্টের সমান। আর ছোট লোক পুরুষগুলো জন্ম নেয়ার পর ভুলে যায় সব। নারীকে শারীরিক ভাবে দুর্বল প্রমান করতে ব্যস্ত
হয়ে যায়!!!! হাজার বছর ধরে চলে আসছে বলে ভবিষ্যতেও চলবে এমনটা নয়। পুরুষতান্ত্রিক এসব শৃঙ্খলে নারীকে বন্দী করে
নারীকে দুর্বল প্রমানের চেষ্টা করে যাচ্ছে। নারী অংশেই দুর্বল নয়, নারী কোন অংশেই কম মানুষ কিংবা আংশিক মানুষ
নয়।
এই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।
উত্তরমুছুনশক্তিকে মোটা দাগে দুই ভাগে ভাগ করা যায়- শারীরিক ও মানসিক। টিকে থাকার লড়াইয়ে পুরুষ নারী নির্বিশেষে সব প্রজাতিকে শারীরিক ও মানসিক শক্তির অধিকারি হতে হয়। কোন প্রজাতি কোন এক শক্তিতে পিছিয়ে থাকলে কিংবা পিছিয়ে রাখা হলে ওই প্রজাতি তার counter part এর সাথে সমান তালে চলতে পারে না এবং জীবনে সফল ও হতে পারে না। শারীরিক শক্তির তুলনায় মানসিক শক্তি বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলেও টিকে থাকার সংগ্রামে শারীরিক শক্তিকে ছোট করে দেখার কোন অবকাশ নেই। অধ্যবসায়ে যেমন মানসিক/মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, শারীরিক শক্তিও তেমনি চর্চায় বৃদ্ধি পায়। উট পাখি একসময় উড়তে পারতো কিন্তু দীর্ঘদিন চর্চা না থাকায় ওরা এখন আর উড়তে পারেনা। তেমনি নষ্ট সমাজের (ভারতীয় উপমহাদেশ) দুষ্ট প্রথাগুলো দীর্ঘকাল শারীরিক শক্তির চর্চার অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখায় নারী প্রজাতিকে আপাতদৃষ্টিতে কম শক্তির অধিকারী বলে মনে হলেও নারী ও পুরুষ প্রজাতির শারীরিক ও মানসিক শক্তির মধ্যে কোন তফাৎ নেই, অন্তত থাকার কথা না। অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে অনেক ভালো লিখেছ ইতু। ধন্যবাদ তোমাকে।
উত্তরমুছুননারী ২০০% পুরুষের থেকে বেশী দুর্বল। কেন? আচ্ছা যদি সবল হতোই তাহলে এটলিস্ট সেরা সব শেফ মেয়ে হতো। নারীরা কোনদিনকেই শীর্ষে নাই। যদিও আমি আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মারাত্তক শ্রদ্ধা এবং সম্মান করি। তিনি যা করেছেন তা বঙ্গবন্ধুর জেনেটিক্স তার মধ্যে আছে বলে পারছেন। তোমার মতো নাস্তিক বেক্কলরা কোনদিকেই সেরা হতে পারে না। মেয়েরা ব্যবসায় ভালো না, গবেষণায় ভালো না। মারিসা মায়ার, প্রিসিলা চ্যানের কথা আলাদা। তুমি তো এদের নখের যোগ্যও না। আই মেক আ লট অফ মানি। আই ফাকিং লাভ ক্যাপিটালিজম।
উত্তরমুছুনচলো একদিন তুমি আর আমি শুধু প্যান্ট পরে রাস্তায় হাটি, আমেরিকায় আসো। দেখি কিভাবে তুমি আমার সমান?
যেই কাজ ভালো পারো সেই কাজ করো, কিন্তু নারীবাদি নাস্তিকদের সমসসা হচ্ছে তারা সব পিস অফ শিট!
ফাক অফ ইউ কমিউনিস্ট বাস্টার্ড!
আপু চলেন তাহলে কালকে বাংলাদেশের জাতীয় টিমের নারী বনাম পুরুষের একটা ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজন করে ফেলি...দেখি আপনার মগজ-জাত কথা খানা কতটুকু সত্যি...
উত্তরমুছুনবাংলাদেশের কথা বাদ । বিশ্ব অলিপম্পকে ১০০ মি দৌড়ে , পুরুষের রেকর্ড ৯. ৫৮ সেকেন্ড , আর মেয়েরদের ১০. ৬৯ সেকেন্ড যা , ১০০ তম পুরুষ দৌড় বিদের চেয়েও কম ।
উত্তরমুছুনতারপর এই মেয়েরদের টাইমিং (১০. ৬৯ সেকেন্ড ) সম্ভব হয়েছে , আর্টিফিশিয়ালি পুরুষ হরমোন দিয়ে ।
অলিপম্পকে, বাংলাদেশের সম্ভাবনা একটাই তাহল , কোন ছেলেকে যদি মেয়ে সাজিয়ে পাঠানো যায় ! কারণ বাংলাদেশের পুরুষ দৌড়বিদের টাইমিং ও এরথেকে ভাল ।
জিনিসটা প্রকৃতিগত । যেমন , একটা পুরুষ সিংহ আর সিংহি র মধ্যে অনেক শক্তির ফারাক । প্রকৃতিতে একজন সন্তান ধারণ করবে ,তাই তাকে করা হয়েছে শারীরিকভাবে নমনীয় কিন্ত বুধিমত্তায় নয় ।
এগুলি নইয়ে বিতর্ক করে কোন লাভ নাই ।
sotti kotha k porishkar kore bolata akta art..jeta sobai parena but tumi paro..my best wishes for you dear
উত্তরমুছুনVlo
উত্তরমুছুন